১. *ইসবগুলের ভুসি (Psyllium Husk)*
– *কাজ করার পদ্ধতি*: ইসবগুলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে দ্রবণীয় ফাইবার। এটি পানি শোষণ করে অন্ত্রে মলকে নরম করে এবং মল ত্যাগকে সহজ করে। IBS-এর রোগীদের মধ্যে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা অনেক সময় দেখা যায়। ইসবগুলের ভুসি মলকে আকার দিতে সাহায্য করে, ফলে পেটের চাপ কমে এবং মল ত্যাগ সহজ হয়। এটি অন্ত্রের স্বাস্থ্যও উন্নত করে, ফলে হজম প্রক্রিয়া সুস্থ থাকে।
– *ব্যবহার পদ্ধতি*: প্রতিদিন এক চামচ ইসবগুলের ভুসি ১ গ্লাস পানিতে মিশিয়ে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য এবং ডায়রিয়া দুইটাই নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
২. *পুদিনা পাতা (Mint Leaves)*
– *কাজ করার পদ্ধতি*: পুদিনার মধ্যে রয়েছে মেনথল, যা হজম প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে এবং পেটের ফাঁপা, গ্যাস, এবং অস্বস্তি কমায়। মেনথল অন্ত্রের পেশীগুলোকে শিথিল করে, যা হজমকে সহজ করে এবং মসৃণ অন্ত্রের মুভমেন্টকে উত্সাহিত করে। এছাড়াও, পুদিনার ব্যাকটেরিয়া-বিরোধী গুণাগুণ অন্ত্রের সংক্রমণ ও প্রদাহ কমায়।
– *ব্যবহার পদ্ধতি*: এক কাপ পানিতে কয়েকটি পুদিনা পাতা দিয়ে চা বানিয়ে খেতে পারেন। পুদিনা পাতা চিবিয়ে খাওয়াও সহায়ক হতে পারে।
৩. *আমলকী (Indian Gooseberry)*
– *কাজ করার পদ্ধতি*: আমলকী ভিটামিন C এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ, যা অন্ত্রের প্রদাহ কমায় এবং হজমের কার্যক্রমকে উন্নত করে। এটি অন্ত্রের পিএইচ লেভেল নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়াগুলোর সঠিক ভারসাম্য বজায় রাখে। এছাড়া, আমলকী হজম প্রক্রিয়াকে উদ্দীপিত করে, ফলে খাদ্য দ্রুত হজম হয় এবং পেটের অস্বস্তি কমে।
– *ব্যবহার পদ্ধতি*: তাজা আমলকীর রস করে খেতে পারেন অথবা আমলকী পাউডার ১ গ্লাস পানিতে মিশিয়ে খেলে হজমে সহায়ক হবে।
এই উপাদানগুলোর মাধ্যমে IBS রোগীদের অন্ত্রের স্বাভাবিক কার্যক্রম বজায় রাখতে এবং উপসর্গগুলোর তীব্রতা কমাতে সহায়তা পাওয়া যায়।